পোস্টগুলি

দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা পুজোর আগে জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

ছবি
পুরাণ অনুযায়ী, দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা শুধুমাত্র একজন শিল্পীই নন, তিনি হলেন সকল কারুকার্য ও নির্মাণের দেবতা। তাঁর আশীর্বাদ ছাড়া কোনো কারুকার্যই সম্পূর্ণ হয় না বলে বিশ্বাস করা হয়। বিশ্বকর্মার আশীর্বাদ সর্বদা সৃজনশীলতা ও কর্মদক্ষতাকে উৎসাহিত করে। বিশ্বকর্মা মাহাত্ম্য: সৃষ্টির শিল্পী: বিশ্বকর্মা সৃষ্টির শুরুতেই ব্রহ্মা দেবের নির্দেশে সমগ্র মহাবিশ্বের নকশা তৈরি করেছিলেন। তিনি দেবতাদের জন্য সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র , প্রাসাদ এবং স্বর্গ নরক নির্মাণ করেছিলেন। কর্মদক্ষতার দেবতা: বিশ্বকর্মা শুধুমাত্র দেবতাদেরই নয়, মানুষেরও কাজে সাহায্য করেন। তিনি শিল্পী, কারিগর, এবং ইঞ্জিনিয়ারদের আশীর্বাদ দিয়ে তাদের কাজে সফলতা এনে দেন। সৃজনশীলতার প্রতীক: বিশ্বকর্মা সৃজনশীলতার প্রতীক। তিনি নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে ভালবাসেন এবং তাঁর সৃষ্টি সবসময়ই অসাধারণ হয়। কর্মের প্রতি শ্রদ্ধা: বিশ্বকর্মা কর্মের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তিনি সবসময় নিজের কাজে নিষ্ঠার সাথে লাগতেন এবং সর্বদা সেরাটা দিতে চেষ্টা করতেন। আজকের দিনেও বিশ্বকর্মার মাহাত্ম্য অক্ষয়। যারা কোনো কাজ শুরু করেন, তারা বিশ্বকর্মার পূজা করে আশীর্বাদ চান।

জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, পরিশ্রমের পরেও ফলাফল না পাওয়ার কারণে হতাশা

আ পনারা কখনো ভেবেছেন, কেন অনেক পরিশ্রম করেও কিছু সময় আমরা আশানুরূপ ফল পাই না? জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, আমাদের জীবনে ঘটা সব ঘটনার পিছনে গ্রহ-নক্ষত্রের গতিবিধির প্রভাব থাকে। অনেক সময়, আমরা যতই পরিশ্রম করি না কেন, গ্রহদশার প্রভাবে আমাদের সাফল্য আসতে দেরি হয়। কেন এমন হয়? গ্রহদশা: প্রতিটি গ্রহের নিজস্ব শক্তি এবং আলাদা আলাদা প্রভাব থাকে। কোন গ্রহের দশা ভাল থাকলে, আমরা সহজেই সাফল্য অর্জন করতে পারি। কিন্তু যখন কোন গ্রহের দশা খারাপ থাকে, তখন আমাদের পরিশ্রমের ফল মিলতে দেরি হয়। কর্মফল: জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, আমরা যা করি, তার ফল আমাদেরকেই ভোগ করতে হয়। কিন্তু কখন, কীভাবে ফল মিলবে তা গ্রহের গতিবিধির উপর নির্ভর করে। জন্মকুণ্ডলী: আমাদের জন্মকুণ্ডলীতে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান আমাদের জীবনের ঘটনাগুলির পূর্বাভাস দেয়। কুণ্ডলীতে কোন গ্রহের অশুভ অবস্থান থাকলে, আমাদের জীবনে বাধা আসতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কী করবেন? ধৈর্য ধরুন: পরিশ্রমের ফল সবসময় তাড়াতাড়ি মিলবে এমন নয়। ধৈর্য ধরে কাজ করে চলুন। জ্যোতিষের পরামর্শ নিন: একজন ভাল জ্যোতিষ আপনাকে আপনার কুণ্ডলী বিশ্লেষণ করে আপনার জন্

শিব লিঙ্গ কি? জানুন শিবঃ লিঙ্গের রহস্য ও তত্ত্ব

ছবি
ব্রহ্মের প্রতীক শিব লিঙ্গের আসল তথ্য  মহাদেব ওঁ নমঃ শিবায়  হিন্দু ধর্মে ভগবান শিব হলেন দেবাদিদেব মহাদেব, পরমেশ্বর বলে পূজা করা হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন, ভগবান শিবের পূজা কেন লিঙ্গ রূপে করা হয়? লিঙ্গ শব্দটি আপনার মনে কি অশ্লীল কিছু বোঝায়? যদি হ্যাঁ, তাহলে আপনি ভুল ধারণায় আছেন। শিবলিঙ্গ হল ভগবান শিবের নিরাকার ব্রহ্মের প্রতীক। এই পোস্টে আমি আপনাকে শিবলিঙ্গের রহস্য ও তত্ত্ব সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত জানাব। শিবলিঙ্গের তত্ত্বকথা জানতে হলে আমাদের প্রথমে লিঙ্গ শব্দের অর্থ বুঝতে হবে। লিঙ্গ শব্দের উৎপত্তি সংস্কৃত লিঙ্গম শব্দ থেকে, যার অর্থ হল প্রতীক চিহ্ন। যেমন অর্থের অর্থ হলো টাকা, লিঙ্গ এর অর্থ প্রতিক বা চিহ্ন। কিন্তু বাংলা ব্যাকরণে লিঙ্গ শব্দ ব্যবহার করা হয় নারী-পুরুষ বিভাজন বা চিহ্নিতকরণের জন্য, যেমন পু লিঙ্গ, স্ত্রী লিঙ্গ, ক্লিবলিঙ্গ। তাই লিঙ্গ শব্দ নারী- পুরুষের চিহ্নিতকরণ ছাড়াও নারী পুরুষের জননেন্দ্রিয় অর্থ লাভ করেছে, যা কিনা একদম বিকৃত ও অশালীন। শিবলিঙ্গ হল ভগবান শিবের নিরাকার ব্রহ্মের প্রতীক। ভগবান শিব আত্মধ্যানে লীন থাকেন, আর এই সংসারের সমস্ত মানুষকে অন্তর্মুখী হয়ে ধান মগ্ন থাকা

বৈদূর্যমণি: (Catseye) রত্নের গুণ, ব্যবহার ও মূল্য

ছবি
কেতুর প্রভাব থেকে রক্ষা করে এই রত্ন ধারণ করার আগে জেনে নিন এর বিষেশত্ব Catseye Gemstone  বৈদূর্যমণি (Catseye gemstone) বিস্তারিত তথ্য: বৈশিষ্ট্য: খনিজ: বেরিল (Beryl)রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য: Be3Al2(SiO3)6 কঠিনতা: 7.5 - 8 Mohs বর্ণ: বিভিন্ন রঙে পাওয়া যায়, তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো নীল, সবুজ, এবং হলুদ। উজ্জ্বলতা: ঝিলিমিলি উৎপত্তি: ব্রাজিল, শ্রীলঙ্কা, মাদাগাস্কার, ভারত, জাপান, চীন বৈদুয্য মণি (Catseye) হলো একটি রত্ন পাথর যা 'ক্রিসোবেরিল' খনিজ দ্বারা তৈরি। এটি বিভিন্ন রঙে পাওয়া যায়, তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় রঙ হলো হলুদ-সবুজ। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, বৈদুয্য মণি 'রাহু' গ্রহের সাথে সম্পর্কিত এবং এর শুভ ও অশুভ প্রভাব রয়েছে। বিশেষ বৈশিষ্ট্য: বৈদূর্যমণির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এর চোখের মতো আলোকচ্ছটা। Chatoyancy: এই আলোকচ্ছটা সূক্ষ্ম স্তরের কারণে হয় যা আলোকে প্রতিফলিত করে। বিভিন্ন রঙের "চোখ": বৈদূর্যমণির "চোখ" বিভিন্ন রঙের হতে পারে, যেমন সাদা, কালো, হলুদ, বাদামী, এবং সবুজ। ব্যবহার: আংটি, কানের দুল, এবং অন্যান্য অলংকার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস

রাহু অশুভ প্রভাব দূর করতে গোমেদ ধারণ করেছেন! লাভের বদলে ক্ষতি হচ্ছে নাতো?

ছবি
গোমেদ ধারণ করার আগেই জেনে নিন শুভ অশুভ গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব। Hessonite gemstone গোমেদ (Hessonite) বিস্তারিত তথ্য: খনিজ: গ্রানেট (Garnet) রাসায়নিক সংকেত: Ca3Al2(SiO4)3 রঙ: হলুদ, কমলা, বাদামী, লালচে কাঠিন্য: 7.0 - 7.5 Mohs উৎস: শ্রীলঙ্কা, ভারত, ব্রাজিল, থাইল্যান্ড, মাদাগাস্কার বিশুদ্ধতা পরীক্ষা: কাচের টেস্ট: সোজা কাচের উপর ঘষলে কাচে নকশা থাকবে না। স্পর্শ পরীক্ষা: হাতে ধরলে ঠান্ডা অনুভূত হবে। আগুন পরীক্ষা: আগুনে পোড়ালে রঙ পরিবর্তন হবে না। মূল্য:  Hessonite gemstone বেশ মূল্যবান, গুণমান, কাট, রঙ, ওজনের উপর নির্ভর করে। 1 ক্যারেট = 200 টাকা থেকে 10,000 টাকা পর্যন্ত। রত্ন ধারণের আগে জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি জ্যোতিষ অনুযায়ী গোমেদ Hessonite শুভ অশুভ প্রভাব: শুভ প্রভাব: গোমেদ রত্ন রাহু গ্রহের জন্য একটি শুভ রত্ন। যারা রাহু দোষে ভুগছেন তাদের জন্য গোমেদ ধারণ করা অত্যন্ত উপকারী। মানসিক শান্তি:  গোমেদ রত্ন ধারণ করলে মানসিক শান্তি, স্থিরতা এবং একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়। শারীরিক সুস্থতা:  গোমেদ রত্ন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দুর করে, যেমন চোখের সমস্যা, ত্বকের সমস্যা, এবং হজমের সমস্যা দূ

সৌভাগ্যের রত্ন নীলা আপনাকে বানাবে রাজা নয়তো ফকির

ছবি
নীলম / Blue Sapphire ধারণ করার আগে জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য  Blue Sapphire নীলা (নীলকান্তমণি ) উৎস: নীলা খনিজ করুণ্ডাম (Corundum) দিয়ে তৈরি। বিভিন্ন রঙে পাওয়া যায়, কিন্তু নীল রঙের জন্য বিখ্যাত। শ্রীলঙ্কা, কাশ্মীর, থাইল্যান্ড, বার্মা, মাদাগাস্কার, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খনন করা হয়। বৈশিষ্ট্য: কঠিনতা: 9 (Mohs স্কেলে) স্বচ্ছতা: স্বচ্ছ থেকে অস্বচ্ছ রঙ: নীল, বেগুনি, সবুজ ঝলক: কাঁচের মতো কিছু তথ্য: নীলকান্তমণি বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে কঠিন রত্ন (হীরার পর)। ব্রিটিশ রাজার মুকুটে নীলা ব্যবহার করা হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় নীলা "স্টার অফ ইন্ডিয়া" (563.35 ক্যারেট)। রত্ন ধারণের আগে জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি জ্যোতিষ অনুযায়ী নীলা (Blue Sapphire) gemstone শুভ ও অশুভ প্রভাব: নীলা রত্ন শনি গ্রহের প্রতিনিধিত্ব করে। জ্যোতিষ অনুযায়ী, নীলা ধারণ করলে শনির শুভ প্রভাব বৃদ্ধি পায় এবং অশুভ প্রভাব হ্রাস পায়। নীলা জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে শনি দুর্বল ও অশুভ, বা সাড়ে সাতি চলাকালীন পরা হয়। কোন রাশির জন্য নীলা শুভ তা নির্ভর করে জন্মকুণ্ডলীতে শনির প্

হীরার জাদু: ঝলমলে সৌন্দর্যের সাথে জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি আনুন!

ছবি
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী হীরার রহস্য: কখন, কে, এবং কীভাবে ধারণ করবেন? Diamond হীরক : বিস্তারিত তথ্য হীরক (Diamond) হলো প্রাকৃতিকভাবে খনন করা একটি খনিজ যা কার্বনের (C) বিশুদ্ধ রূপ। এটি পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্ত প্রাকৃতিক পদার্থ এবং এর অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য এটি অত্যন্ত মূল্যবান রত্ন হিসেবে পরিচিত। উৎপত্তি: হীরক পৃথিবীর ভূগর্ভস্থ গভীরে, উচ্চ চাপ ও তাপমাত্রার পরিবেশে তৈরি হয়। এগুলি সাধারণত 140 থেকে 190 কিলোমিটার গভীরতায়, পৃথিবীর কেন্দ্র ও আবরণের মাঝে পাওয়া যায়। কিছু বিরল হীরা গ্রহাণুর সংঘর্ষের ফলে তৈরি হতে পারে। বৈশিষ্ট্য: কাঠিন্য: হীরকের মোহস স্কেলে কাঠিন্য 10, যা সকল প্রাকৃতিক খনিজের মধ্যে সর্বোচ্চ। আলোক প্রতিসরণ: হীরক আলোকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে প্রতিফলিত করে, যা এটিকে ঝলমলে করে তোলে। তাপ পরিবাহিতা: হীরক তাপ দ্রুত পরিবহন করে, যার ফলে এটি স্পর্শে ঠান্ডা অনুভূত হয়। বিদ্যুৎ পরিবাহিতা: হীরক বিদ্যুৎ পরিবাহিত করে না। বর্ণ: বেশিরভাগ হীরক বর্ণহীন হয়, তবে কিছু হলুদ, বাদামী, নীল, সবুজ, গোলাপী, লাল, কালো, ইত্যাদি রঙে পাওয়া যায়। রত্ন ধারণের আগে জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি ব্যবহা