ভারতীয় জ্যোতিষের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র
Vedic Astrology |
জ্যোতিষশাস্ত্রের জগতে, বৃহৎ পরাশর হোরা একটি বিখ্যাত গ্রন্থ। ঋষি পরাশর কর্তৃক রচিত এই গ্রন্থ জ্যোতিষের নীতি, গ্রহের প্রভাব, জন্মকুণ্ডলী বিশ্লেষণ এবং ভবিষ্যদ্বাণী সহ বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জ্ঞান প্রদান করে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র
জন্মকুণ্ডলী:
লগ্ন: জন্মের সময় পূর্ব দিগন্তে যে রাশি উদিত হয় তাকে লগ্ন বলে। লগ্ন ব্যক্তির শারীরিক গঠন, ব্যক্তিত্ব, স্বাস্থ্য এবং জীবনের প্রারম্ভিক দিক সম্পর্কে ধারণা দেয়।
রাশি:
চন্দ্রের অবস্থান অনুসারে বারটি রাশি নির্ধারিত হয়।
প্রতিটি রাশির নিজস্ব গুণাবলী এবং প্রভাব রয়েছে। রাশি অনুযায়ী মানুষের স্বভাব চরিত্র প্রকৃতি বৈশিষ্ট্য সমন্ধে জানা যায়।
গ্রহ:
সূর্য, চন্দ্র, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, শনি এবং রাহু ও কেতু - মোট নয়টি গ্রহ জন্মকুণ্ডলীতে বিশ্লেষণ করা হয়।
গ্রহের অবস্থান, রাশি এবং নক্ষত্র অনুসারে মানুষের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
দশা:
গ্রহের প্রভাব সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়।
দশা ব্যবস্থা অনুসারে, প্রতিটি গ্রহ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রভাব বিস্তার করে এবং শুভ অশুভ ফল প্রদান করে।
ভাব:
জীবনের বিভিন্ন দিক, যেমন কর্মজীবন, বিবাহ, সন্তান, সম্পদ ইত্যাদি বিশ্লেষণের জন্য জন্মকুণ্ডলীকে বারটি ভাগে ভাগ করা হয়।
উদাহরণ
লগ্নে শুভ গ্রহের অবস্থান:
ব্যক্তির শারীরিক সৌন্দর্য, সুখী জীবন এবং ভাগ্যের উন্নতি।
পঞ্চম ভাবে বৃহস্পতি:
উচ্চশিক্ষা, জ্ঞান অর্জন এবং সন্তান লাভের সম্ভাবনা।
সপ্তম ভাবে শুভ গ্রহের অবস্থান:
সুখী দাম্পত্য জীবন এবং সঙ্গীর সাথে ভালো সম্পর্ক।
উপসংহার
বৃহৎ পরাশর হোরা জ্যোতিষ শাস্ত্রের একটি জ্ঞান ভান্ডার। এর সূত্রগুলি ব্যবহার করে জ্যোতিষীরা জন্মকুণ্ডলী বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারেন।
দ্রষ্টব্য:
জ্যোতিষশাস্ত্র একটি জটিল বিষয়।
এই পোস্টে উল্লেখিত সূত্রগুলি কেবলমাত্র সাধারণ ধারণা প্রদানের জন্য।
জন্মকুণ্ডলী বিশ্লেষণ এবং ভবিষ্যদ্বাণীর জন্য একজন অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর সাথে পরামর্শ করা উচিত।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত প্রকাশ করুন