বৈদূর্যমণি: (Catseye) রত্নের গুণ, ব্যবহার ও মূল্য
কেতুর প্রভাব থেকে রক্ষা করে এই রত্ন ধারণ করার আগে জেনে নিন এর বিষেশত্ব
Catseye Gemstone |
বৈদূর্যমণি (Catseye gemstone) বিস্তারিত তথ্য:
বৈশিষ্ট্য:
খনিজ: বেরিল (Beryl)রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য: Be3Al2(SiO3)6
কঠিনতা: 7.5 - 8 Mohs
বর্ণ: বিভিন্ন রঙে পাওয়া যায়, তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো নীল, সবুজ, এবং হলুদ।
উজ্জ্বলতা: ঝিলিমিলি
উৎপত্তি: ব্রাজিল, শ্রীলঙ্কা, মাদাগাস্কার, ভারত, জাপান, চীন
বৈদুয্য মণি (Catseye) হলো একটি রত্ন পাথর যা 'ক্রিসোবেরিল' খনিজ দ্বারা তৈরি। এটি বিভিন্ন রঙে পাওয়া যায়, তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় রঙ হলো হলুদ-সবুজ। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, বৈদুয্য মণি 'রাহু' গ্রহের সাথে সম্পর্কিত এবং এর শুভ ও অশুভ প্রভাব রয়েছে।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য:
বৈদূর্যমণির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এর চোখের মতো আলোকচ্ছটা।
Chatoyancy: এই আলোকচ্ছটা সূক্ষ্ম স্তরের কারণে হয় যা আলোকে প্রতিফলিত করে।
বিভিন্ন রঙের "চোখ": বৈদূর্যমণির "চোখ" বিভিন্ন রঙের হতে পারে, যেমন সাদা, কালো, হলুদ, বাদামী, এবং সবুজ।
ব্যবহার:
আংটি, কানের দুল, এবং অন্যান্য অলংকার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
ধর্মীয় বিশ্বাসে ব্যবহৃত হয়।
জ্যোতিষশাস্ত্রে ব্যবহৃত হয়।
বিশ্বাস:
ধারণা করা হয় বৈদূর্যমণি সুরক্ষা, সৌভাগ্য, এবং সমৃদ্ধি বয়ে আনে।
এটি মনকে শান্ত করতে এবং নেতিবাচক শক্তি দূর করতে সাহায্য করে বলে বিশ্বাস করা হয়।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বৈদূর্যমণি কেতু গ্রহেকে শান্ত করতে সাহায্য করে।
মূল্য:
বৈদূর্যমণির মূল্য এর রঙ, আকার, কাট, এবং উজ্জ্বলতার উপর নির্ভর করে।
একটি উচ্চ-মানের বৈদূর্যমণির দাম হাজার হাজার টাকায় হতে পারে।
বিরল রত্ন বৈদূর্যমণি একটি বিরল রত্ন এবং এর মূল্য অন্যান্য রত্নের তুলনায় বেশি।
সতর্কতা:
বৈদূর্যমণি একটি নরম রত্ন এবং এটি সহজেই আঁচড়ে যেতে পারে।
এটি তীব্র তাপ এবং রাসায়নিক থেকে দূরে রাখা উচিত।
রত্ন ধারণের আগে জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি
বৈদুয্য মণি (Catseye): জ্যোতিষ অনুযায়ী শুভ ও অশুভ প্রভাব
শুভ প্রভাব:
সম্পদ বৃদ্ধি: বৈদুয্য মণি ধারণ করলে সম্পদ বৃদ্ধি পায় এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা আসে।
রোগ প্রতিরোধ: এটি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
মানসিক শান্তি: বৈদুয্য মণি মনকে শান্ত করে এবং মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
শত্রু দমন: এটি শত্রুদের দমন করতে এবং বিপদ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
পেশাগত সাফল্য: বৈদুয্য মণি পেশাগত সাফল্য বৃদ্ধি করতে এবং নতুন সুযোগ তৈরি করতে সাহায্য করে।
অশুভ প্রভাব:
অসুস্থতা: যদি রত্নটি সঠিকভাবে ধারণ না করা হয়, তবে এটি অসুস্থতা এবং শারীরিক সমস্যা তৈরি করতে পারে।
মানসিক অস্থিরতা: এটি মানসিক অস্থিরতা, উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা তৈরি করতে পারে।
আর্থিক ক্ষতি: ভুলভাবে ধারণ করলে এটি আর্থিক ক্ষতি এবং ঋণের কারণ হতে পারে।
বৈবাহিক সমস্যা: এটি দাম্পত্য সম্পর্কের মধ্যে অশান্তি এবং মনোমালিন্য তৈরি করতে পারে।
বৈদুয্য মণি ধারণের নিয়ম:
বৈদুয্য মণি শুক্র/শনিবার সূর্যোদয়ের পর ধারণ করা উচিত।
এটি রুপোর আংটিতে ধারণ করা উচিত।
মধ্যমা বা কনিষ্ঠা আঙ্গুলে এটি পরিধান করা উচিত।
ধারণ করার আগে রত্ন টিকে কাচা দুধ ও গঙ্গাজল' দিয়ে শোধোন করে নেওয়া উচিত।
একজন অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ ছাড়া এটি ধারণ করা উচিত নয়।
Astrologer, Palmist and gemologist
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত প্রকাশ করুন